হাওজা নিউজ এজেন্সি: শুক্রবার রাতে শহীদ কমান্ডার আলি কারাকির স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শেখ কাসেম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “কমান্ডার আলি কারাকি ২০২৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর উম্মাহর শহীদদের নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরাল্লাহর সঙ্গে শাহাদাত বরণ করেন। তিনি হিজবুল্লাহর সামরিক শাখার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।”
প্রতিরোধ আন্দোলনের কার্যকারিতা নিয়ে যারা সংশয় প্রকাশ করছেন, তাদের উদ্দেশে কাসেম বলেন, “১৯৮২ সাল থেকে হিজবুল্লাহ বহু গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে। সত্য যে, প্রতিরোধ ইসরায়েলের লেবননে আগ্রাসন শুরু ঠেকাতে পারেনি, তবে তারা শত্রুকে সীমান্ত পেরিয়ে অগ্রসর হওয়া এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া থেকে সফলভাবে রুখে দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে প্রতিরোধ লেবাননের ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসন প্রতিহত করে দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের একটি নতুন চুক্তির প্রস্তাব প্রসঙ্গে কাসেম বলেন, “বর্তমান যুদ্ধবিরতির চুক্তিটি তাদের স্বার্থ রক্ষা করছে না বলেই তারা নতুন প্রস্তাব এনেছে, যার উদ্দেশ্য হলো পুরো লেবানে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করা।”
“এই প্রস্তাব হিজবুল্লাহ নয়, বরং সমগ্র লেবাননের জন্যই একটি অস্তিত্বগত হুমকি,” বলে তিনি উল্লেখ করেন। “এই হুমকির মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্য ও প্রতিরোধের প্রয়োজন।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “প্রতিরোধ আন্দোলন হয়তো ক্ষয়ক্ষতি পুরোপুরি ঠেকাতে পারবে না, কিন্তু আত্মসমর্পণ মানে শত্রুর হাতে গোটা দেশ তুলে দেওয়া। যতদিন আমরা বেঁচে আছি, ততদিন ইসরায়েল আমাদের অস্ত্র কেড়ে নিতে পারবে না বা তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে পারবে না।”
আপনার কমেন্ট